একাদশ শ্রেণী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, কাগজপত্রসহ আবেদন লিংক
👇👇👇👇👇👇
A
৩.৪ ৩.৪.১ সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
৩.৪.২ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বরপ্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীব বিজ্ঞানে প্রাপ্তনম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
৩.৪.৩ উপনীতি ৩.৪.২ এর বিধান সত্ত্বেও যদি প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসণ না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
৩.৪.৫ এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে জি.পি.এ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসণ না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
৩.৫ এ নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন স্কুল এন্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূন্য আসনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধারা ৩.০ এর উপ নীতি ৩.২, ৩.৩ ও ৩.৪ অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে।
৩.৬ কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে।
৩.৭কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানকে তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে।
৩.৮ সকল কলেজ/উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভর্তির জন্য নির্ধারিত আসন মোতাবেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্ধারিত তালিকা ও সময় অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। কোন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ও বোর্ড নির্ধারিত আসন, তালিকা ও সময়ের বাইরে নিজ ইচ্ছামাফিক ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।
৩.৯ এস.এস.সি./সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পরবর্তী ৪৫ (পয়তাল্লিশ) কার্যদিবসের মধ্যে ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যেক বোর্ড প্রজ্ঞাপন জারি করে ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাশ শুরু সংক্রান্ত সিডিউল ঘোষণা করবে।
অনলাইনে ভর্তি: 8.0
৪.১ শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
-08-
৪.২ ভর্তি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম অনলাইন প্লাটফর্মে সম্পন্ন করা হবে। ভর্তির ফি বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি নির্ধারণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করবে।
৫.০ বিজ্ঞপ্তি, ভর্তি ও ফি:
৫.১ উপনীতি ৪.২ অনুসরণপূর্বক কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত আসন সংখ্যা (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ, শিষ্ট্য, পুরুষ/মহিলা/সহশিক্ষা, ভার্সন) এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি ফিসহ অনুমোদিত অন্যান্য সকল ফি, ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা ইত্যাদি তথ্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।
৫.২ বোর্ডে নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কিংবা পাঠদানের অনুমতি নেই এমন কোন বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বোর্ডসমূহ স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিধান বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
৫.৩
অনলাইনে বোর্ড থেকে প্রাপ্ত ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের মেধাক্রম তালিকা সংশ্লিস্ট কলেজ নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করবে;
৫.৪ ভর্তির সময় প্রার্থীকে মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র দাখিল করতে হবে;
৫.৫ ৫.৫.১ সরকারি কলেজসমূহ সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফি সংগ্রহ করবে।
৫.৬
৫.৫.২ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ভর্তি প্রক্রিয়ার পূর্বেই বেসরকারি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন এবং অন্যান্য যাবতীয় খরচ এর লিস্ট স্ব স্ব কলেজের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে হবে;
৫.৭কোন শিক্ষার্থীর নিকট হতে বোর্ড অনুমোদিত ফি-এর অতিরিক্ত কোন অর্থ গ্রহণ করা যাবে না এবং অনুমোদিত সকল ফি যথাযথ রশিদ প্রদানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে;
৫.৮
৫.৯
ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর বোর্ডের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করে কলেজ, বিভাগ ও বিষয় পরিবর্তন করতে পারবে। তবে অন্যান্য বিভাগ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে বিভাগ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। বিজ্ঞান বিভাগ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অন্য বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর পরবর্তীতে বিজ্ঞান বিভাগে প্রত্যাবর্তনের কোন সুযোগ নেই;
কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হতে এস.এস.সি. বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কোন শিক্ষার্থীর মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট উক্ত শিক্ষার্থী বা তার অভিভাবক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করতে পারবে না বা অন্য কোন অজুহাতে কোন শিক্ষার্থীর একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট আটক রাখতে পারবে না। অনুরূপ অভিযোগ পাওয়া গেলে বোর্ড সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে;
৫.১০ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা জমাদানের সময় প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান কে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি'র বিবরণীর সাথে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক খাতওয়ারি গৃহীত অন্যান্য ফি'র বিবরণী আলাদাভাবে জমা দিতে হবে।
-০৫-
৬.০
ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু:
উপনীতি-৩.৯ ও উপনীতি-৪.২ মোতাবেক প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পূর্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন:
৭.১ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র / ছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
৮.০
অনুমতি বা স্বীকৃতিবিহীন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিষিদ্ধ:
৮.১
স্থাপনের অনুমতি আছে কিন্তু পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি নেই এরূপ কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কোন অবস্থাতেই ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি করাতে পারবে না।
৮.২
পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতিপ্রাপ্ত অথবা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে অননুমোদিত ক্যাম্পাস/শাখায় এবং অননুমোদিত কোন বিষয়ে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি করা যাবে না।
৯.০ নীতিমালার প্রবর্তন ও প্রয়োগ:
৯.১
দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে;
৯.২
শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এই নীতিমালার কোনরূপ ব্যত্যয় ঘটানো হলে বেসরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজটির এম.পি.ও. ভুক্তি বাতিল করা হবে এবং সরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাক্ষরিত/-
সিনিয়র সচিব
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা।
Post a Comment